Gulshan, Dhaka-1212
+88 9696 223 229
mail@niloyparvez.com

মসনদ ও সংগঠন ।

লায়ন মোঃ নিলয় পারভেজ এনপি

মসনদ ও সংগঠন ।

মসনদে থেকে যারা দুষ্টামি করে তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য রয়েছে মানবাধীকার সংগঠন, মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ে যখন ব্যার্থতা নিয়ে হাতাশ হয়ে বিধাতাকে দোষ দেয় তখন সেই মৌলিক অধিকার আদায়ে বিধাতার নিয়োজিত দূত হয়ে তা আদায়ের জন্য রয়েছে মানবাধীকার সংগঠন ।

কিন্তু বাংলাদেশে যে হারে ভুয়া মানবাধীকার সংগঠন গজিয়ে উঠছে তা আপনার আমার কল্পনার বাহিরে। আমরা গত দুই বছরে প্রায় ২৭০টি এমন সংগঠনকে ব্যান করেছি কিন্তু আমাদের কাছে মুচলেকা দিয়ে ২/৩ মাস পরে আবার নাম বদলে নতুন করে শুরু করছে। এখন এটাকে প্রতিহত করতে একমাত্র কঠোর জনসচেতনতাই বাকী আছে ।

যেকোন সংগঠনে যুক্ত হওয়ার পূর্বে তার কার্যক্রম সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে।
যেখানে একজন মানুষ একটি সংগঠন সামাল দিতে পারে না সেখানে অনেক মানুষ পেশাগত জীবনের পাশাপাশি ৪/৫ টা মানবাধীকার সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততার প্রমান পাওয়া যায় । এদের ধরে নিকটস্থ থানায় সোপর্দ করে আমাদের জানান বাকী কাজটা আমরা করে দিবো।

অনেকে আছে সাংবাদিক পরিচয়ের সাথে মানবাধীকার কর্মীর পরিচয় যুক্ত করে তাদের ধান্দা বৃদ্ধি করে। আসলে মানবাধীকার সেবা সমূহ যে সম্পূর্ণ ফ্রী এটা সবাই না জানার কারনেই এইসব ধান্দাবাজ প্রতারকদের ক্ষপ্পরে পরে। সেবার পরিবর্তে উল্টো ক্ষতিগ্রস্থ হয় আর বদনাম মানবাধীকার সংগঠনের ।

মানবাধীকারের একটা কার্ড ঝুলানো দেখলেই তাকে মানবাধীকার কর্মী ভাববেন না, তার কাছে সেবা চান; তার স্পিস আপনাকে প্রাথমিক ধারনা দিবে কেননা মানবাধিকার সংক্রান্ত ৯৯% বই ও প্রবন্ধ ব্রিটিশ ইংরেজি ভাষায় লেখা থাকে যাহা অশিক্ষিত তথাকথিত মানবাধীকার কর্মীদের পক্ষে রপ্ত করা প্রায় অসম্ভব। তাছাড়া যারা আন্তর্জাতিক পর্যায় কাজ করে তারা অনেক দক্ষ এবং সরাসরি জাতিসংঘের রোষ্টার হয়ে থাকে; যাহা যাচাই করা খুবই সহজ। সবচেয়ে সহজ উপায় মানবাধীকার সংগঠনের সকল কাজ স্ব স্ব দেশে একই রকম এবং একদম ফ্রী সেবা, একই সাথে কোনপ্রকার নালিশী শালিশী করে না অর্থাৎ ফৌজদারী কার্যাদি মানবাধিকার সংগঠন সমাধান করে না । উহা একান্তই স্ব স্ব রাষ্ট্রীয় আইনের ধারায় পরিচালিত হয়; শুধু এটা ফলোআপ করলেই আর মানবাধীকার সংগঠন দ্বারা প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

©️✒️– মো. নিলয় পারভেজ (এনপি)
চেয়ারম্যান & প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
বেঙ্গল হিউম্যান রাইটস্ ইন্টারন্যাশনাল (BHRI)
কান্ট্রি ডিরেক্টর & অবজার্ভার (২০২৩-২০২৬)
জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল (UNHRC)